অনন্ত যৌবনার মহৌষধ আবিস্কার



মরণশীল মানুষ পাবে অমরত্ব! চিরযৌবন!
এমনটি ভাবতে সবারই ভাল লাগে৷ সবাই চাই তাঁর রূপ-রসকে ধরে রাখতে আজীবন৷
অমরত্ব লাভের চেষ্টা তো আর আজ-কালকের ব্যাপার নয়। পুরান যুগ থেকেই সেই চেষ্টা চালাচ্ছে মানুষ। অমরত্ব আর চিরযুবা হওয়ার জন্য সাত সমুদ্র তেরো নদী সাঁতরে অমৃত সন্ধানের পুরাণ কাহিনীর কথা আমরা জানি৷ কিন্তু মানি না। কারণ কাউকে তো আর তেমনটি হতে দেখা গেল না।

সত্য সত্যই যদি এমনটি হয়? একটি ট্যাবলেট খেলেই যদি মানুষ হয়ে যায় চিরযুবা, অনন্ত যৌবনা? বেশ মজার হয় না? তখন তো আর না মেনে উপায় নেই। মানুষকে সেই বিশ্বাস দিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। তাঁরা জানিয়েছেন, মানুষকে চিরযৌবন দিতে তাঁরা শিগগিরই নিয়ে আসছেন এক মহৌষধ। এ ওষুধ মানুষের অকালবার্ধক্যকেই ঠেকাবে। সেই সঙ্গে আয়ুও বাড়িয়ে দেবে ১০ বছরের বেশি।

বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, এই গবেষণার জন্য তাঁরা হাচিসন গি্লফোর্ড প্রোজেরিয়া সিনড্রোমে (এইচজিপিএস) আক্রান্ত শিশুদের ত্বকের কোষ নিয়েছিলেন। এটি একটি বিরল রোগ। এতে আক্রান্ত শিশুরা দ্রুত বুড়িয়ে যায়। মোটামুটি ১২ বছর বয়সে সাধারণত তাদের মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা ‘র‌্যাপামাইসিন’ নামের এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে ওই শিশুদের কোষকে সারিয়ে তুলেছেন। বিজ্ঞানীরা এ ওষুধকে বলছেন ‘চিরযৌবনের ওষুধ’।
মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সময় এই র‌্যাপামাইসিন ব্যবহার করা হয় শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল করার জন্য। ইস্টার আইল্যান্ডের মাটিতে পাওয়া এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে এটি তৈরি করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Blogger দ্বারা পরিচালিত.