এলিয়েনের সাথে যোগাযোগ!



ভিনগ্রহবাসী।অনেকেই এদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, আবার কেউ বা চলচ্চিত্রেই এদের জিইয়ে রাখতে চান। আজ পর্যন্ত অনেক বিতর্ক, প্রমাণ কিংবা আড্ডার ফাঁকে উঠে এসেছে এদের কথা। আসলেই কি আছে? আমাদের চেনা জানা জগতের বাইরে সত্যিই কি আছে এদের অস্তিত্ব?
অনেক বিজ্ঞানীই বিশ্বাস করেন মহাবিশ্বের কোন না কোন গ্রহে জীবের অস্তিত্ব আছে। হয়ত নিকট কোন ভবিষ্যতে আমরা এদের সম্পর্কে জানতে পারব, মুখোমুখি হতে পারব তাদের। আসুন, এক সেকেন্ডের জন্য ধরে নেয়া যাক ভিনগ্রহবাসীদের অস্তিত্ব সত্যিই আছে এবং আমাদের সাথে তাদের দেখা হয়েই গেল। এবার? কেমন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন?কেমন
ভাষা হবে তাদের? মনের ভাব প্রকাশের জন্য আমরা কেমন করে একে অপরকে বুঝতে পারব?
একটি বিষয় নিয়ে আমরা আশাবাদী যে যদি কখনো ভিনগ্রহবাসীদের সাথে দেখা কালক্রমে হয়েই যায়, তবে তাদের সাথে আমাদের যে বিষয়টি নিয়ে সবচাইতে বেশি কথা হবে, তা হচ্ছে বিজ্ঞান। যদি মহাবিশ্বের সূত্রগুলো সকল জায়গার ক্ষেত্রে একই হিসেবে প্রযোজ্য হয় তবে ভীনগ্রহবাসীরাও এদের থেকে খুব একটা দূরে হবেন না। তাদেরকেও এই রীতিগুলোই মেনে চলতে হবে। ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণিদের সম্পর্কে খোঁজ ও তাদের সাথে যোগাযোগ করবার জন্য যে দুটি প্রতিষ্ঠান সবচাইতে বেশি নিবেদিত, তারা মোটামুটি এমনটাই ধারনা করছেন।
কিন্তু ব্যপারটি আরো কঠিন হয়ে যাবে যখন কোন ভাষায় যোগাযোগ করা হবে, তা যখন সামনে এসে দাঁড়ায়। কারণ, এমনটি ভাবার কোন অবকাশ নেই যে তারা আমাদের ভাষা জানবে কিংবা আমরা তাদের ভাষা জানব। যদি পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে প্রাণির অস্তিত্ব থেকে থাকে, তাহলে এটি মনে করা মোটেও ভুল কিছু হবে না যে তাদের মাঝে যোগাযোগের জন্য নিজস্ব কোন ভাষা থাকবে না।
আমরা কি তাদের ভাষা শিখতে পারব? প্রথম যে ধাপটি নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে তা হচ্ছে ভাষার মাধ্যমটি কি হবে। মানুষ ৮৫-২৫৫ হার্জ ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জে শব্দের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। ভিনগ্রহের প্রাণিদের ক্ষেত্রেও এমনটিই ঘটে থাকবে। তারাও হয়ত নিজস্ব প্রযুক্তি অনুযায়ী যোগাযোগের মাধ্যম বেছে নিয়েছে। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল এখানে প্রযুক্তি। তাদের প্রযুক্তি আমাদের চাইতে কতটা উন্নত হবে কিংবা কতটা অবনত হবে তা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।
বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। তারা আশা করছেন মানুষ একদিন এমন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করবে যার মাধ্যমে ভিনগ্রহের অজানা সকল তথ্য আমাদের সামনে চলে আসবে। সেদিন শুধু মঙ্গলই নয়, এ মহাবিশ্বের প্রতিটি গ্রহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকবে মানুষের নখদর্পণে।
 

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Blogger দ্বারা পরিচালিত.