ফেসবুকে কীভাবে আকর্ষণ করবেন যে কোনও নারী বা পুরুষকে? ৮টি টিপস

সোশ্যাল মিডিয়া দিনে দিনে যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে তেমনই জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়ছে এর উপযোগিতাও। অনেকের কাছেই সোশ্যাল মিডিয়া এখন আর নিছক অবসর যাপনের উপায় নয়। জীবনের বহুবিধ প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে তাঁরা সাহায্য নিয়ে থাকেন ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার। সেরকমই একটি প্রয়োজন হল, নিজের উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীকে খুঁজে পাওয়া, এবং তার হৃদয় জয় করে নেওয়া। কীভাবে ফেসবুক বা টিন্ডারে জিতে নেবেন নিজের মনের মানুষকে রইল ৮টি টিপস।
১. লেখার বদলে ছবির মাধ্যমে নিজেকে অভিব্যক্ত করার চেষ্টা করুন। নিছক স্টেটাসের তুলনায় ছবি সবসময় অধিক সংখ্যক মানুষের নজর কাড়ে। ফলে আপনার ভালবাসার মানুষের চোখে পড়াও সহজতর হয়। কাজেই কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে, সেই নিয়ে স্টেটাস দেওয়ার পরিবর্তে খাবার ভর্তি প্লেটের ছবি পোস্ট করুন, লোকের চোখে পড়বে বেশি।
২. আপনার কর্মস্থল, পেশা বা কোন পদে আপনি রয়েছেন, নিজের প্রোফাইলে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। প্রেমের বাজারে ভাল চাকরির দাম অস্বীকার করার উপায় নেই। তাছাড়া আপনার চাকরি যদি তেমন আহামরি কিছু না-ও হয়, তাহলেও নিজের পেশার সুস্পষ্ট উল্লেখ মানুষ হিসেবে আপনার সততাকেও তো প্রমাণ করে, তাই না?
৩. আপনি কি মারাত্মক সুদর্শন, কিংবা মোহময়ী সুন্দরী? তা যদি না হন, তাহলে শুধু প্রোফাইল পিক-এর জোরে কারোর মন জয় করার সম্ভাবনা কম। কাজেই মন দিন স্টেটাসের উপর। আপনি যা ভালবাসেন, যে বিষয়ে আপনি আত্মবিশ্বাসী, স্টেটাস দিন সেই বিষয়ের উপরেই। কবিতা পড়তে যদি ভাল না বাসেন, তাহলে আলটপকা কবিতার লাইন কোট করে লোক ঠকিয়ে লাভ নেই। ক্রিকেট ভালবাসলে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ
নিয়েই স্টেটাস দিন। সৎ থাকুন, তাতেই কাজ হবে। ৪. স্মার্টনেস অবশ্যই জরুরি, কিন্তু ওভারস্মার্ট হতে গিয়ে গোটা ব্যাপারটা কেঁচিয়ে ফেলবেন না। কোনও মেয়ের সঙ্গে চ্যাট করার সময়ে ‘হাই হটি’ মার্কা কথা দিয়ে আলাপ জমাতে গেলে অধিকাংশ মেয়েই তাতে বিরক্ত বোধ করে। তার চেয়ে শুধু ‘হাই’-ই কথা শুরু করার পক্ষে যথেষ্ট।
৫. নিজের বাড়ির কাছেপিঠের মেয়ে বা ছেলেদের সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করুন। টালায় থেকে টালিগঞ্জের মেয়ের হৃদয় জয় করতে সচেষ্ট হওয়ার তুলনায় বাগবাজারের মেয়ের সঙ্গে আলাপ জমানো ভাল। তাতে সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডির বাইরে গিয়ে বাস্তবে দেখাশোনার কাজটা সহজ হয়। মেয়েটিও সুরক্ষিত বোধ করে।
৬. ফোন নাম্বার জোগাড় করার ক্ষেত্রে ‘তুমি কি হোয়াটস অ্যাপে আছ?’ মার্কা প্রশ্ন পুরনো হয়ে গিয়েছে। আপনিও ওই ধরনের প্রশ্ন করে নিজেকে সস্তা করবেন না। তার চেয়ে সরাসরি বলুন, ‘তোমার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই। ফোন নাম্বারটা পেতে পারি?’ সে কী উত্তর দিচ্ছে, তার ভিত্তিতে আপনার প্রতি তার মনোভাবটা বোঝাও সহজ হবে।
৭. কাউকে আপনার ভাল লাগতেই পারে, কিন্তু তা বলে তার বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবেন না। আপনার তরফ থেকে দু’একটা ‘হাই’, ‘হ্যালো’-তে যদি সাড়া না পান, তাহলে বুঝতে হবে, আপনার আশা কম। সেক্ষেত্রে দিবারাত্র তাকে মেসেজ করে তার মনোভাব আপনি বদলাতে পারবেন না। উল্টে আপনার ব্লকড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৮. শেষে একটাই কথা, কাউকে ভাল লাগলে আলাপ একটু এগনোর পরেই আপনার মনোভাব তাকে বুঝতে দিন। আলাপের দু’দিনের মাথায় সরাসরি প্রোপোজ করাটা বাড়াবাড়ি, কিন্তু তাকে যে আপনার ভাল লেগেছে, সে সম্পর্কে হালকা আভাস অন্তত দিন। না হলে একবার যদি সে আপনাকে নিছক বন্ধু বলে ভাবতে শুরু করে, তাহলে ‘বন্ধু’ থেকে ‘প্রেমিক’ হয়ে ওঠাটা কিন্তু প্রায় অসাধ্যসাধনের সামিল হবে। কাজেই প্রথম থেকেই আভাস দিন যে, আপনার মনে কী চলছে।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Blogger দ্বারা পরিচালিত.